October 23, 2024, 3:19 pm

সংবাদ শিরোনাম :
দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তবুও নির্বাহী প্রকৌশলী শারমিনকে গাজীপুরে পদায়ন সাবেক কমিশনার হারুনের দাপটে বসত ভিটে ছড়া এক দম্পতি   খুলনা কয়রায় হামলা করে আসামি ছিনতাই, ৫ পুলিশ সদস্য আহত খুলনা পাইকগাছায় বিগত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ আহত ৫৬  কয়রায় এক নারী বাসা বাড়ি কাজ করতে করতে বর্তমানে চা বিক্রি করেই স্বাবলম্বী কয়রা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময় সভা  আন্তরজাতকি এয়ারট্রাফকি কন্‌ট্রালারূক্স ডে উদযাপন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার ১৯তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা শুরু রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় কেশবপুরে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৮৯ টি মন্ডপে  দুর্গা পূজা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হলো 

কবরস্থানের সব তথ্য যুক্ত হল অনলাইন সেবায়: মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসির কবর ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন।

দুর্নীতি রিপোর্ট ডেক্সঃ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নের পর এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে। স্মার্ট বাংলাদেশে কবরস্থানের ব্যবস্থাপনাও স্মার্ট হতে হবে। আজকের ডাটা যদি সুরক্ষিত থাকে তাহলে আমরা অনেক বছর পরেও জানতে পারবো তথ্য। হাতের মুঠোয় টোটাল ম্যানেজম্যান্ট থাকবে কবরস্থানের। ডিএনসিসির কবরাস্থানের সব তথ্য যুক্ত হল অনলাইন সেবায়। এর ফলে ডিএনসিসির ডিজিটাল সেবার পরিসর আরও একধাপ এগিয়ে গেলো।’

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট ২০২৩) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে অডিটোরিয়ামে ডিএনসিসির স্মার্ট ডিজিটাল কবরাস্থান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন ঘোষণাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কবরস্থানে কত কবর আছে, কোথায় কবরের লোকেশন ছিলো একটা জেনারেশন পরে আর কেউ কিন্তু এই তথ্য জানবে না। তবে আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি এখন ডিজিটাল ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে আত্মীয় স্বজনরা অনেক বছর পরেও এই তথ্য জানতে পারবেন। কবর কোথায় ছিলো এটা নিয়ে কেউ দিশেহারা আর হবে না। আমরা যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ডাটা রাখতে পারি তাহলে তারা অনেক বছর পরেও জানতে পারবে এসব তথ্য।’তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। চ্যালেঞ্জ নিয়েও আমরা ম্যাপিং কাজ শুরু করেছি। পরবর্তিতে কবরস্থানে বড় বড় ডিজিটাল স্ক্রিন থাকবে, আমরা সেখানে দেখতে পাবো কবরের তথ্য। এগুলোকে টোটাল ম্যানেজম্যান্টের মধ্যে আনতে, হাতের মুঠোয় আনতে আমরা কাজ করছি। আমাদের ঢাকা উত্তরের ছয়টি কবরস্থান ডিজিটাইলেজেশন করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আমরা এটার এমন সেবা দিতে চাই যেন নাগরবাসীর পাশাপাশি বিদেশেও যারা আছেন তারা যেন তাদের স্বজনদের কবরের সার্বিক তথ্য হাতের মুঠোয় পায়। পাশাপাশি কবর কোথায় দিবে, কোথায় ফাঁকা আছে তার সার্বিক তথ্য পেয়ে যাবে ঘরে বসে অ্যাপের মাধ্যমে।’

মেয়র বলেন, ‘কবরস্থানে নির্দিষ্ট মেয়াদে কবর সংরক্ষণের খরচ আমরা বাড়িয়েছি, এর কারণ এমনিতেই কবরের জায়গার সঙ্কট। তাই কবর সংরক্ষণকে নিরুৎসাহীত করার জন্য আমরা সংরক্ষণ খরচ বাড়িয়েছি। বনানী কবরস্থানেও যদি কেউ কবর দিতে আসে, আর সেটা যদি স্থায়ী সংক্ষণ না করা হয়, তাহলে সেই কবর দেওয়ার খরচ আমরা রেখেছি মাত্র ৫০০ টাকা। তবে কবর সংরক্ষণে করতে চাইলে সেটা অনেক খরচ পড়বে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ট্যাক্স আমরা আর ক্যাশে নিচ্ছি না। সব এখন হচ্ছে অনলাইনে। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে দেওয়ার সার্বিক কার্যক্রম শিঘ্রই আমরা উদ্বোধন করবো। সবার ঢাকা অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার সমাধান করছি। সবাইকে আমরা জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে কাজ করে যাচ্ছি।

উল্লেখ্য, Graveyard Management DNCC নামে অ্যাপটি গুগুল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। কবরস্থানে না গিয়েও একজন সেবাগ্রহীতা এই অ্যাপে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করে লাশ দাফনের জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করে লাশ নিয়ে নির্দিষ্ট কবরে দাফন করতে পারবেন। এই অ্যাপের ফেস টু (২) তে কবরস্থানে দাফনদের তথ্যভান্ডার থাকবে, পাশাপাশি দাফন সনদ সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া বহু পুরাতন কবরের অবস্থান কোথায় ছিলো, কার নামে কোন জায়গায় ঠিক কবর দেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে কবর দেওয়ার জন্য কোথায় ফাঁকা জায়গা আছে, কোন পুরাতন কবরের উপর নতুন কবর বসবে কবরস্থান সংক্রান্ত এমন যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সব কবরস্থানই পর্যায়ক্রমে স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের আওতায় আনা হবে। প্রথমে ৬ টি স্মার্ট ডিজিটাল কবরাস্থান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে থাকছে। কবরস্থান গুলো হলো: বনানী কবরাস্থান, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরাস্থান, রায়ের বাজার কবরাস্থান, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কবরাস্থান, উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কবরাস্থান ও উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর বুদ্ধিজীবী কবরাস্থান।

ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিডিডিআর,বি নির্বাহী পরিচালক তাহমিদ আহমেদ এবং সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও সিনিয়র ডিরেক্টর শামস এল আরেফিন, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেঃ জেনাঃ এ.কে.এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেঃ জেনাঃ মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন